• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Plinko 2024: Guía para juegos Plinko gratuitos Vietnamese Vs. Thai Mail Order Brides: A Comparative Analysis যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে

২ হাজার ১৪৫টি মামলা দায়ের করে ও থামছেনা নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন

ঔষধ প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অপকর্ম করেও ছাড় পাচ্ছে জড়িতরা, ছোটখাটো কয়েকটি বৈধ কোম্পানিও নকল ওষুধ উৎপাদন করে

নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ হাজার ১৪৫টি মামলা দায়ের করেন। এ সময় ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৩৯ জনকে। সিলগালা করা হয় ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। জব্দ করা হয় প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। এটি গত বছরের নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া সরকারি কার্যক্রমের চিত্র।

এসব পদক্ষেপের মধ্যেও থেমে নেই এ অপরাধ। নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে অপরাধীরা। তাদেরই একজন কেরানীগঞ্জের রাসেল। সে নিজেই কেমিস্ট, নিজেই ফার্মাসিস্ট, আবার ওষুধ কোম্পানির মালিকও। স্কয়ার, বেক্সিমকো, অপসোনিন এবং ইনসেপটার মতো নামিদামি কোম্পানির মোড়ক, বোতল হুবহু নকল করে বছরের পর বছর ধরে অনৈতিক বাণিজ্যে জড়িত রাসেল। রাসেলের মতো ঢাকার মুগদার বাদশা, সাভারের কবির, যাত্রাবাড়ির শাহজাহান, আইযুব বাচ্চু,  গাজীপুরের আতাউর, সবুর, পাবনার আজাদ,  মিরপুরের সালাউদ্দিন বাবু  ,রমিজ উদ্দিন, মিডফোডের তোফাজ্জেল, ময়মনসিংহের কামরুল ও বিজণবাবু পান্থপথের মোহাম্মদ আলী খান, পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীর এম এ বারেক নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এই অপরাধে তাদের একাধিকবার জেলেও যেতে হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে আবার ফিরে গেছে পুরোনো ব্যবসায়।

ছোটখাটো কয়েকটি বৈধ কোম্পানিও নকল ওষুধ উৎপাদনে জড়িত। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে তা পাইকারি দোকানে বিক্রি করছে তারা। এসব দোকানের মাধ্যমেই সারাদেশে নকল ওষুধ ছড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ী, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির এমন ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রেতার পক্ষে নিম্নমানের এসব ওষুধ চেনা সম্ভব নয়।
মিটফোর্ডে ওষুধের দোকান আছে এমন কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, প্রথমে তারা মনে করতেন, বড় কোম্পানির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা বা কর্মচারী লট চুরি করে বাজারে বিক্রি করছে। এ কারণে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে এক ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, স্কয়ার ফার্মার সিপ্রোসিন নামে এন্টিবায়োটিকের প্রতি পিসের পাইকারি মূল্য সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকা পড়ে, সেখানে তিনি চার থেকে পাঁচ টাকায় তিনি কেনেন। কিছুদিন পর তার ভুল ভেঙে যায়। জানতে পারেন, একটি চক্র নামিদামি কোম্পানির নকল ওষুধ উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। এরপর থেকে তিনি কোম্পানি কর্মী ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে ওষুধ কেনেন না।

ছোটখাটো কোম্পানি বা এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি দামি ওষুধ নকল করে স্বীকার করে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সাবেক উপসচিব মনির হোসেন প্রতিবেদকে বলেন, এ অপরাধ ঠেকাতে ড্রাগ সুপারদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে। নকল কারখানায় অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি মিটফোর্ডে গড়ে ওঠা অবৈধ ওষুধের কাঁচামালের মার্কেট বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।

একই মত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিনের। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রির সুযোগ নেই। যারা করছেন তারা অপরাধ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির কয়েক নেতা এবং ঔষধ প্রশাসনের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা।

পাইকারি মার্কেট ও ছোটখাটো ওষুধ কারখানায় ড্রাগ সুপার বা ঔষধ প্রশাসনের কর্তাদের নিয়মিত তদারকির অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভেজালকারীদের বিশাল সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে। ড্রাগ সুপাররা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ায় তাদের চোখের সামনেই চলছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের নকল আর ভেজালের খেলা। মাঠ পর্যায়ে ড্রাগ সুপারদের অসাধুতার জন্যই ভেজাল সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করেও আপোস করতে হচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে প্রতিবেদকে বলেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে নকল-ভেজাল ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ওষুধ নিয়ে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ওষুধ আইনকে আরও যুগোপযোগী এবং কঠোর শাস্তির বিধান রেখে প্রস্তাবিত আইন অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে তা আরও জোরালো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.